শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
তুরাগের বউবাজারে ফুডকোর্ট মার্কেট উচ্ছেদের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত  ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ কর্তৃক ছয়টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ম্যাগাজিন ও বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধার; ভাসানী ফাউন্ডেশন নিউইয়র্কের আলোচনা সভায় বক্তারা মওলানা ছিলেন রাজনীতিকদের আইকনিক নেতা  তিন শূন্যের ধারণার ওপর ভিত্তি করে পৃথিবী গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার তুরাগের বউবাজার মার্কেট উচেছদের প্রতিবাদে মানববন্ধন ট্রাম্পের সঙ্গে ‘দ্বন্দ্ব’ মিটিয়ে ফেলতে পারবেন ড. ইউনূস সেনাবাহিনী কত দিন মাঠে থাকবে’ সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে  প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাব ফ্রান্স’র কার্যকরি কমিটি (২০২৪-২০২৬)গঠন ১০ নভেম্বর ২০২৪ শহীদ নুর হোসেন গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মহানায়ক : ডা. ইরান রাজধানী,তুরাগে ছেলের হাতে মা খুন

গুলশানে পুলিশ সদস্য মনিরুলকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত কনস্টেবল কাউসার আটক

নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ 

মনির হোসেন জীবন : রাজধানীর গুলশান থানার গুলশান – বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোন এলাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে কর্তব্য পালনকালে এলোপাতাড়ি গুলিতে পুলিশের এক সদস্য মনিরুল ইসলাম নিহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন সহআরেকজন বাইসাইকেল আরোহীও গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।

সাজ্জাদের শরীরে তিনটি গুলি লেগেছে। তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে।

এদিকে, কনস্টেবল মনিরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় কাউসার ইসলাম ওরফে কাওসার আলী নামে অপর এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গুলশান থানা পুলিশ।

ঘটনার পর পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশ সদর দপ্তর ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেন।

গুলশান থানা পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনায় অভিযুক্ত কনস্টেবল কাউসার আহমেদকে আটক করেছে গুলশান থানা পুলিশ। তার ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি জব্দ করা হয়েছে। কনস্টেবল কাউসারের গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা যান।

এদিকে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, এ ঘটনার পর পুরো কূটনীতিক এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা আগের চেয়ে জোরদার করা হয়েছে। কাউসার আহমেদ কী কারণে মনিরুল ইসলামকে হত্যা করেছেন তা জানতে পুলিশ তদন্ত করছে।

শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে

গুলশান থানার গুলশান-বারিধারা কূটনীতিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে নিহতের মরদেহ উদ্বার করে।

এর আগে রাত আনুমানিক ১১টা ৪৫ মিনিটের সময় কাউসার আহমেদেরব গুলিতে নিহত হন কনস্টেবল মো. মনিরুল। এ ঘটনার পর

আক্রমণকারী পুলিশ সদস্যকে নিরস্ত্র করে গুলশান থানায় নেওয়া হয়েছে। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচেছ।

ডিএমপির গুলশান থানা পুলিশ জানান, নিহত কনস্টেবলের মরদেহ উদ্ধার করে

সুরতহাল প্রস্তুতির পর ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কিছু গুলির খোসা ও ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ডিএমপি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এ ঘটনার পরপরই কূটনীতিক এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুরো এলাকা নিরাপত্তাবেষ্টনীতে ছেয়ে ফেলেছে পুলিশ। এ মুহূর্তে কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে গেলে তাকে তল্লাশি করা হচ্ছে।

ঘটনাস্থলের আশপাশে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও সোয়াতসহ থানা পুলিশের একাধিক দল মোতায়েন রয়েছে।

জানা যায়, নিহত কনস্টেবল মনিরুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়। তিনি ২০১৮ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন।

এ বিষয়ে ডিএমপি গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, গতরাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে গুলশানের ডিপ্লোম্যাটিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে উত্তর পাশের গার্ডরুমে কনস্টেবল কাউসার আহমেদ গুলিতে অপর কনস্টেবল মনিরুল মারা গেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com